অপহরনের ৩৭দিন পর দশমিনার কিশোরী আয়শা ঢাকায় উদ্ধার ॥ গ্রেফতার-১

অপহরনের ৩৭দিন পর দশমিনার কিশোরী আয়শা ঢাকায় উদ্ধার ॥ গ্রেফতার-১

সাইফুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার  
পটুয়াখালীতে অপহরনের এক মাস ৭দিন পরে কিশোরী সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী আয়শা আক্তারকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় অপহরনকারীকে আটক করেছে পুলিশ। ১৩ অক্টোবর সকাল ১০টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস বিওফিংএ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান।
পুলিশ সুপার জানান, পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার চাঁদপুরা গ্রামের সাইদুল হাওলাদার কর্তৃক দশমিনা থানায় জিডি সূত্রে পুলিশ দ্রূত অনুসন্ধান করে জানতে পারে যে, ৮ সেপ্টেম্বর কিশোরী অপহরনের পর নাম ঠিকানা বিহীন হারুন নামের এক লোক এলাকায় দেখা যাচ্ছে না।  পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে হারুন ৮ মাস আগে চাঁদপুরা এলাকায় এসে তাবিজ কবজ এবং কুফুরি কালাম দিয়ে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে এবং অভিযোগকারীর অমতে অভিযোগকারীর শ্যালিকা শাহানাজকে কৌশলে বিবাহ করে। বিবাহের পর হারুন তার ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী শাহানাজকে ঢাকায় রেখে আসে। পুলিশ কিশোরী আয়শাকে উদ্ধার করতে রাজবাড়ি, ফরিদপুর, মাদারীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। ভিকটিমের পিতা সাইদুল হাওলাদার তার মেয়ের কোন খোঁজ না পেয়ে ২৯ সেপ্টেম্বর দশমিনা থানায় নারী ওশিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে। এ মামলার ঘটনার পর পুলিশ সুপারের পরামর্শ ও দিক নির্দেশনায় পুলিশের সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে গত ১১ অক্টোবর বৃহষ্পতিবার ঢাকার মুগদা এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ভাড়াটিয়া বাসা থেকে কিশোরী আয়শাকে উদ্ধার করে এবং হারুনকে আটক করে। আটক হারুন পুলিশকে জানায়, বিবাহে সাইদুল হাওলাদার রাজি না হওয়ায় প্রতিশোধ হিসাবে তাকে দেখিয়ে দেয়ার জন্য এবং অন্তঃসত্বা স্ত্রীকে সেবা শুশ্রষা করার জন্য ফুসলিয়ে ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ঘটনার দিন আয়শাকে ঢাকায় নিয়ে যাই। হারুনকে আটকের সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমান তাবিজ, কবজ ও তাবিজ তৈরীর বিভিন্ন উপাদান উদ্ধার করা হয়েছে।  উদ্ধার হওয়া কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য দশমিনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন হালদারের মাধ্যমে হাসপাতালের প্রেরন করা হবে  বলে প্রেসব্রিফিংএ পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের জানান।